ছাগল নিয়ে কাড়াকাড়ি

১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল কিনতে চাওয়া ছেলেটি আসলে কার?

এক লাখ টাকা বায়না দিলেও ছেলেটি আর ছাগলটি নিতে আসেননি

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম

কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকার ছাগল বায়না দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। ফেসবুকে এবং কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইফাতের বাসা ধানমন্ডি এবং তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে। 

তবে ড. মতিউর রহমান গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, এই ইফাত তার ছেলে নয়। তার এক ছেলে এক মেয়ে থাকলেও ইফাত তাদের সন্তান নন। এমনকি তাকে চেনেনও না।  প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এই ছেলেটি কে?

মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে আরো জানান, আমার একমাত্র ছেলের নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় আমি বিব্রত। আমি অবশ্যই আইনি পদক্ষেপে যাবো।

তবে গণমাধ্যমকে সাদিক এগ্রো ফার্মের কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন জানিয়েছেন, ১৫ লাখ টাকা দাম চাওয়া আলোচিত তরুণ শুধু এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটি খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি। পাশাপাশি ওই ছেলের বাবাও রাজস্ব কর্মকর্তা নন। তার বাবা বিদেশে থাকেন।

জানা গেছে, ওই তরুণ আগেও সাদিক এগ্রোর বিভিন্ন পশুর সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে। এর আগে ২০২১, ২০২২ সালেও তিনি ছবি দিয়েছেন।

গণমাধ্যমে সাদিক এগ্রোর কর্ণধার জানান, যে ছাগলের দাম নিয়ে এত জল্পনা কল্পনা, তা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের ছাগল। এ জাতের নাম ''বিটল'' এবং বাংলাদেশে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ছাগল।

আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। প্রায় দুই মাস আগে এটিকে যশোরের একটি হাট থেকে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনে সাদিক এগ্রো।

অন্যদিকে মুশফিকুর রহমান ইফাতের পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তিনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল লক করে রেখেছেন। ফলে ল্যান্ড ক্রুজার, হোন্ডা সিভিক, ক্রাউন মেজেন্টার মতো বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে নিয়মিত ছবি দেওয়া ওই তরুণের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

Post a Comment

Previous Post Next Post

upper post

doen post